Thursday, December 31, 2020

পর্যটকদের ভীরে বাংলাদেশরই ‘নতুন দার্জিলিং’

 

মাতামুহুরী নদীটি বান্দরবানের আলীকদমের আরাকান পর্বত থেকে উৎপত্তি হয়ে লামা হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা ওপর দিয়ে সাপের মতো আঁকাবাঁকা পথে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে

    বাংলাদেশর দক্ষিনপূর্বাংশের মাতামুহুরী নদীর দুই পাশে উঁচু–নিচু পর্বতসারি, শীতের ঘনকুয়াশায় ঢাকা মেঘমালা। একটু দূরত্বে দেখা মেলে শ্বেতপাথরের বুক চিরে ছলাৎ ছলাৎ শব্দে ঝরনার রক্তক্ষরণ। স্বচ্ছ-নীল জলের নদীতে ডিঙি নৌকায় ভাসতে ভাসতে আপনার মনে হবে এ এক অন্য রকম দার্জিলিং। যেখানে একসঙ্গে নীল জলরাশি, সবুজ পাহাড় আর সাদা মেঘমালার মিলনমেলা।

বলছিলাম, কক্সবাজারের ভেতরে লুকিয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন রূপ–লাবণ্যে ভরা এক লীলাভূমির কথা। জায়গাটিতে একবার যাঁদের পা পড়েছে, তাঁদের অনেকের মুখে দার্জিলিংয়ের তুলনা। এখন বিপুল পর্যটক টানছে অচেনা এই দার্জিলিং।

যদি বলি, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের রানী কক্সবাজারে কী নেই। একটু ভেবে নিয়ে বলতে হবে, সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতির সবটুকু ঢেলে দিয়েছেন এখানে। প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন, আন্তর্জাতিক নদী নাফ, নাফ নদীর বুকে জালিয়ারদিয়ায় ট্যুরিজম পার্ক, মগ জমিদারকন্যা মাথিনের সঙ্গে সাহিত্যিক ধীরাজ ভট্টাচার্যের ঐতিহাসিক প্রেমকাহিনির মাথিনকূপ, গহিন বনের নেচার পার্ক, শতবর্ষী প্রাকৃতিক কুদুমগুহা, পাথুরে সৈকত ইনানী, কানা রাজার সুড়ঙ্গ, বৌদ্ধপল্লি, শুঁটকি মহাল, লবণমাঠ, সাফারি পার্ক, সাগরতলের রহস্যভরা ফিস ওয়ার্ল্ড অ্যাকুরিয়ামসহ দর্শনীয় কত কিছু। এখন কক্সবাজারের পর্যটনের আরেক সম্ভাবনা ‘নিভৃতে নিসর্গ পার্ক’।


মাতামুহুরী, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার চারটি উপজেলার অন্তত সাত লাখ মানুষের ভাগ্যবদলের আধার

পার্কটির অবস্থান কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে, চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। এখান থেকে দক্ষিণ দিকে কিছু দূর গেলে চোখে পড়বে পার্বত্য বান্দরবানের লামা উপজেলা। লামার মিরিনজা পর্যটনপল্লির উঁচু পাহাড়চূড়ায় আছে ইট-পাথরে নির্মিত বিশাল টাইটানিক জাহাজ। সেই জাহাজে দাঁড়িয়ে দেখা মেলে সুদূরের কক্সবাজার সৈকত, বঙ্গোপসাগর আর মহেশখালী চ্যানেলের।

সুন্দর বিলোচ্ছে মাতামুহুরী
কক্সবাজারের সুরাজপুর-মানিকপুরে এই নতুন বিনোদনকেন্দ্রে প্রতিদিন যাচ্ছেন হাজারো মানুষ


প্রায় ১৪৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মাতামুহুরী নদীর উৎপত্তিস্থল নিয়ে বিতর্ক আছে। নদীটি বান্দরবানের আলীকদমের আরাকান পর্বত থেকে উৎপত্তি হয়ে লামা হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার ওপর দিয়ে সাপের মতো আঁকাবাঁকা পথে এগিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। কারও মতে, লামার মাইভার পর্বতে মাতামুহুরীর উৎপত্তি। মগ ভাষায় নদীর নাম ‘মা-মুরি’।

মতান্তরে, মাতৃস্তনসদৃশ বিভিন্ন পর্বত গাত্র থেকে জল চুইয়ে চুইয়ে পড়েই এ নদীর সৃষ্টি, এ কারণে নামকরণ মাতামুহুরী। মুহুরী শব্দের অর্থ অসংখ্য ছিদ্র দিয়ে জল পড়ার ঝাঁঝর। নদীর তীরে গড়ে উঠেছে আলীকদম, লামা, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা শহর। নীলনদ যেমন মিসরের জন্য দান, তেমনি মাতামুহুরী বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার চারটি উপজেলার অন্তত সাত লাখ মানুষের ভাগ্যবদলের আধার। নদীর তীরে শীতকালীন শাকসবজি, ফলমূল উৎপাদনের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে মৎস্য ও পোলট্রি খামার, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও পর্যটনকেন্দ্র। নদীটির গড় প্রস্থ ১৫৪ মিটার। বর্ষাকালে পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীর পানি ফুলে ওঠে, তখন প্রস্থ আরও বেড়ে যায়।

৮৮৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কক্সবাজার জেলার লোকসংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। উত্তরে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের সীমানা থেকে দক্ষিণ দিকের টেকনাফের বদরমোকাম পর্যন্ত দীর্ঘ ১৪৫ কিলোমিটারব্যাপী বিস্তীর্ণ সমুদ্র উপকূল। জেলার ৫০ ভাগ এলাকাজুড়ে রয়েছে ছোট–বড় অসংখ্য পাহাড় পর্বত। শুধু কুতুবদিয়া উপজেলাতে পাহাড় নেই। হিমালয়ের পর্বতমালার দক্ষিণ দিকে সম্প্রসারিত আরাকান পর্বতমালা জেলার পূর্বভাগের ওপর দিয়ে গেছে। এ কারণে টেকনাফ, উখিয়া, রামু, কক্সবাজার সদর, চকরিয়াতে পাহাড় ও বনাঞ্চল বেশি। জেলার সবচেয়ে উঁচু পাহাড় ‘তুনাঙ্গানাঙ্গা’—সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৮০ ফুট। এটির অবস্থান টেকনাফের জাহাজপুরা এলাকায়। দ্বিতীয় উচ্চতার ৫৫১ ফুটের পর্বত নেটংও টেকনাফে। তৃতীয় উচ্চতার ‘নাগাটং’ ৫৪৫ ফুট—চকরিয়ায়। পাহাড়ের কারণে জেলায় অসংখ্য ছোট–বড় নদীর সৃষ্টি। এর মধ্যে বড় তিনটি নদী মাতামুহুরী, বাঁকখালী ও রেজুর উৎপত্তি পাহাড় থেকেই। মাতামুহুরী নদীর মধ্যভাগেই গড়ে ওঠে অচেনা দার্জিলিং।

পাহাড়-ঝরনার ইয়াংছা

পাহাড়-ঝরণার নীলজলের পাহাড়-ঝরণার ‘ইয়াংছা’, দৃষ্টিনন্দন এই জায়গাটি এতদিন পযর্টকের দৃষ্টিসীমার বাইরে ছিল

সবুজ পাহাড়, নীল জলের ঝরনায় দৃষ্টিনন্দন জায়গাটি এত দিন পর্যটকের দৃষ্টিসীমার বাইরে ছিল। নজরে আসেনি গণমাধ্যমেরও। অচেনা এই পর্যটন স্পটের নামকরণ ‘নিভৃতে নিসর্গ পার্ক’ হয়েছে মাত্র কয়েক দিন আগে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের একটি দল ২৬ ডিসেম্বর সরেজমিন পরিদর্শন করেন অন্য রকম দার্জিলিং। এর রূপ-লাবণ্যে মুগ্ধ হন সবাই। পার্কের নামকরণ ‘নিভৃতে নিসর্গ পার্ক’ জেলা প্রশাসকের দেওয়া। ওই দিন সেখানে পার্কের ফলকও উন্মোচন করে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেছিলেন, বাংলাদেশে এ রকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা লীলাভূমি দ্বিতীয়টি নেই। যেখানে মেঘালয়ের মতো পাহাড়–পর্বত, সবুজে ঘেরা পাহাড়ের বুকে একাধিক ঝরনাধারা, হিমাচলের শুভ্র মেঘের গালিচা মুহূর্তেই শরীর–মন সতেজ করে দেয়।

২৮ ডিসেম্বর দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, অনেক মানুষ ডিঙি নিয়ে নদী ভ্রমণ করছেন। বেশির ভাগ স্থানীয়, অল্প কিছু পর্যটক। তাঁরা ইয়াংছারমুখ ঘাট থেকে নৌকায় উঠে ৮-১০ কিলোমিটার দূরে লামাবাজার যাচ্ছেন। এরপর পর্বতের রানী লামা উপজেলা ঘুরে নৌকায় পুনরায় ইয়াংছার মুখ ঘাটে ফিরে আসছেন তাঁরা। মানিকপুর ঘাট দিয়েও অনেকে নদীভ্রমণে যাচ্ছেন। চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পুরো পার্কটির তত্ত্বাবধান করছে স্থানীয় সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ। ইউপি চৌকিদার সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে চারজন স্বেচ্ছাসেবী পার্কটি দেখাশোনা করছেন। পার্কে প্রবেশে টাকা দিতে হয় না।
চৌকিদার সাইফুল ইসলাম বললেন, প্রতিদিন এই ঘাট দিয়ে হাজারো মানুষ লামাবাজার আসা–যাওয়া করছেন। এর মধ্যে অন্তত ৩০০ জন পর্যটক। সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত নদীভ্রমণ সবার জন্য উন্মুক্ত।

ঘাটে কথা হয় সিলেট থেকে আসা ব্যবসায়ী কেরামত আলীর সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে স্ত্রী ও দুই ছেলে। কেরামত আলী (৪৫) বললেন, কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণে গিয়ে জানতে পারি নতুন এই পর্যটনকেন্দ্রের কথা। তারপর দেখতে আসা। নদী ভ্রমণ করে আনন্দ পেয়েছি। তবে বিনোদনের আরও সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি দরকার। পুরো পার্কে বিদ্যুৎ নেই।


মাতামুহুরী নদীর দুইপাশে উঁচুনিচু পর্বতসারি, শীতের ঘনকুয়াশায় ঢাকা মেঘমালা

পার্কের পাশের একটি পাথরের পাহাড়ের নামকরণ করা হয় ‘শ্বেত পাহাড়’। এর আশপাশে একসঙ্গে দেখা যায় পাহাড়, পাথুরে নদী, ঝরনা, মেঘ-কুয়াশা, বন্য প্রাণী, স্বচ্ছ নীল জলরাশি ইত্যাদি।

চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম কাজল বললেন, ২৬ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন পার্কটির উদ্বোধন করেন। মূলত এরপর থেকে পর্যটকেরা ‘নিভৃত নিসর্গ’ দেখতে ছুটে আসছেন। ক্রমে পর্যটকের আগমন বাড়ছে। গত মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) ২২টি নৌকা নিয়ে নদী ভ্রমণে নেমেছেন দুই শতাধিক পর্যটক। আগের দিন ২৮টি নৌকায় নেমেছেন প্রায় ৩০০ জন। প্রায় ৬৪ কোটি টাকায় নির্মাণাধীন (ইয়াংছাঘাট পর্যন্ত) ১৯ কিলোমিটারের ‘জিন্দাবাজার-ইয়াংছাঘাট সড়কটি’ পাকা হয়ে গেলে যোগাযোগ সহজ হবে। নিভৃত নিসর্গ পার্কে বিদ্যুৎ–সংযোগের কাজও চলছে দ্রুতগতিতে।

পার্কের তথ্য সরবরাহকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া উপজেলা ডিজিটাল সেন্টারের পরিচালক এরশাদুল হক বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনি—দুই দিন পার্ক ভ্রমণে যাচ্ছেন দৈনিক অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ। অন্য দিন যাচ্ছেন এক থেকে দুই হাজার জন। পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য সেখানে আছে ৬০টির অধিক ছোট–বড় ডিঙি নৌকা। শীতকালে নদীর পানি শুকিয়ে গেছে, তাই লামাবাজার পর্যন্ত যাতায়াত চলছে। বর্ষাকালে পানি বেড়ে গেলে নৌকায় আলীকদম পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হবে। এখন লামা যেতে নৌকাভাড়া (রিজার্ভ) লাগে ১ হাজার ২০০ টাকা। প্রতিটি নৌকায় ওঠেন ১৫-২০ জন।


                                                         পর্যটনের নতুন দিগন্ত

জায়গাটিতে একবার যাঁর পা পড়েছে-তাঁদের অনেকের মুখে দার্জিলিংয়ের তুলনা। এখন বিপুল পযর্টক টানছে অচেনা এই দার্জিলিং

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত দেখতে সম্প্রতি কয়েক লাখ মানুষ কক্সবাজার ছুটে এসেছেন। তাঁরা সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, মহেশখালী, রামুর দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শন করে ঘরে ফিরছেন। কিন্তু অচেনা দার্জিলিং একবার গেলে বারবার দেখতে যাওয়ার মতো একটি জায়গা। পর্যটকসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ যেন সহজে ‘নিভৃত নিসর্গ’ ভ্রমণে যেতে পারেন, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। বিশেষ করে লোকজনের সহজ যাতায়াত এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পার্কটিকে আরও আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা হবে। পর্যটনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এই পার্ক।

২৬ ডিসেম্বর পার্ক পরিদর্শনের সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাজাহান আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামশুল তাবরিজ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিজুল হক আজিম প্রমুখ। সবাই পার্কের সৌন্দর্যে মুগ্ধ।

ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক আজিম বলেন, পাহাড়বেষ্টিত আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটটি পূর্ণাঙ্গ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে রূপ পেলে দেশের পর্যটনশিল্প বিকাশে ভূমিকা রাখবে। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের। সুরাজপুর-মানিকপুরকে দেখবে পুরো বাংলাদেশ।

অচেনা পার্ক ঘুরে এসে পরিবেশবাদী সংগঠন ‘কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ’ সভাপতি দীপক শর্মা বলেন, দুই পাহাড়ের মাঝখানে আকাঁবাঁকা হ্রদের জলরাশিতে নৌকায় ছুটে চলা, রোমাঞ্চকর অভিযাত্রা, ভোজনবিলাস—সব আনন্দ ‘নিভৃতে নিসর্গ’ পার্কে পাচ্ছেন পর্যটকেরা। নৌকায় নদীভ্রমণের পাশাপাশি পাহাড়ের সঙ্গে নদীর মিতালি দেখতে গিয়ে দেখা মিলবে বিভিন্ন বন্য প্রাণীর, দেখা মিলবে একসঙ্গে জলজ প্রাণীর সঙ্গে বন্য প্রাণীর মিলনমেলার। এর মধ্যে পাহাড় বেয়ে ঝরে পড়া ঝরনা ধারার শব্দ, পাখির কলরব, গাছে গাছে বানরের দৌড়ঝাঁপ, বনাঞ্চলে হরিণের লাফালাফি মন পুলকিত করবে।

নীল জলরাশি দিয়ে যেতে যেতে দেখা মিলবে একাধিক সাদা পাথরের পাহাড়। এর মধ্যে সুউচ্চ সাদা পাহাড় মন টানবে, ইচ্ছা হবে শ্বেতপাথরের পাহাড়ের নিচে দাঁড়িয়ে স্মৃতির ছবি তুলে রাখতে। পাহাড় ও নদীর অপরূপ সান্নিধ্য মিলবে এখানে।

যেভাবে যেতে হয়

কক্সবাজার অথবা ঢাকা থেকে সড়কপথে (চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক) প্রথমে চকরিয়া পৌরসভা বাসস্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে জিপ অথবা মিনিবাসে উঠে প্রায় আট কিলোমিটার গেলে ফাঁসিয়াখালী স্টেশন। সেখান থেকে যেতে হবে বান্দরবানের লামা সড়ক ধরে ১২ কিলোমিটার দূরে ইয়াংছাবাজারে। ইয়াংছাবাজার থেকে অটোরিকশা অথবা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (টমটম) নিয়ে আড়াই কিলোমিটার গেলেই (এখন ইট ও কাঁচা রাস্তা) সামনে পড়বে কাঙ্ক্ষিত সেই পর্যটন স্পট ‘নিভৃতে নিসর্গ’। চকরিয়া থেকে নিভৃত নিসর্গ পার্কে যেতে ভাড়া পড়বে ৫০ টাকা। প্রাইভেট কারেও যাতায়াত করা যায়। কক্সবাজার শহর থেকে সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরে আসা যায়। ইচ্ছা করলে ফিরতি পথে চকরিয়া বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, রামু বৌদ্ধপল্লি, রাবার বাগান, কক্সবাজার শহরের রাখাইন তরুণীদের বার্মিজ মার্কেট ঘুরে আসা যায়।




Wednesday, December 16, 2020

করোনাভাইরাস নতুন রূপ নিয়েছে , প্রায় ২৫ দফা পরিবর্তন করোনাভাইরাসের!!!


FILE PHOTO:CORONAVIRUS

এটা এখন অনেকেই জানেন যে, ভাইরাস সবসময়ই নিজেকে পরিবর্তন করে নতুন রূপ নিতে থাকে - যাকে বলে 'মিউটেশন'। কখনো কখনো এই নতুন রূপ নেওয়া ভাইরাস আগেরটার চাইতে বেশি ভয়ঙ্কর হয়, বা আগের চাইতে 'নিরীহ'ও হয়ে যেতে পারে। এমন কিছু মিউটেশনও হতে পারে যার আদৌ কোনো প্রভাব পড়ে না।

ভাইরাস কেন এভাবে রূপ পরিবর্তন করে? সাধারণত এর লক্ষ্য হলো - যাতে সে এক মানবদেহ থেকে আরেক দেহে আরও সহজে ছড়াতে এবং বংশবৃদ্ধি করতে পারে, অথবা ওষুধ বা চিকিৎসার মতো কোনো বাধা মোকাবিলা করে টিকে থাকতে পারে। 

করোনাভাইরাসও যে এভাবে মিউটেশনের মাধ্যমে নতুন চেহারা নিতে পারে বা নিচ্ছে - এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই সচেতন ছিলেন। তবে গত দু'এক দিনে ইংল্যাণ্ডের অন্তত ৬০টি জায়গায় করোনাভাইরাসের এক নতুন 'স্ট্রেইন' - এর সন্ধান পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্প্রতি ওই এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়ার পেছনে এই নতুন রূপগ্রহণকারী ভাইরাসটিই দায়ী।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে এর মধ্যেই ব্যাপারটি জানানো হয়েছে এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসটি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা শুরু করেছেন।

এখন প্রশ্ন হলো: এই নতুন ধরনের করোনাভাইরাস কোথা থেকে এলো, এবং আমাদের কতটা উদ্বিগ্ন হবার কারণ আছে।

নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের আচরণ কি ভিন্ন?

বিবিসির স্বাস্থ্য এবং বিজ্ঞান সংবাদদাতা জেমস গ্যালাহার লিখছেন, করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনের খবর দেখলে প্রথমেই তিনি যে প্রশ্নটি তোলেন তা হলো: ভাইরাসের আচরণে কি কোনো পরিবর্তন এসেছে?

ভাইরাসের মিউটেশনের খবর দেখলেই তা আমাদের কাছে একটা ভয়ের খবর বলে মনে হয়। কিন্তু মিউটেশন এবং নিজেকে পরিবর্তন করতে থাকা ভাইরাসের স্বাভাবিক ধর্ম।

অনেক সময় এ পরিবর্তন হয় প্রায় অর্থহীন, কখনো এটা মানুষকে সংক্রমণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে মরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

আবার কখনো কখনো এটা আরো বেশিদিন টিকে থাকার এবং সংক্রমণ বাড়ানোর 'উইনিং ফরমূলা' পেয়ে যেতে পারে।

নতুন মিউটেশনটি কি বেশি সংক্রমণের কারণ?

বলা হচ্ছে, ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে করোনাভাইরাসের এই নতুন মিউটেশনটির সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এটি যে আগের চাইতে সহজে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে, গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে বা ভ্যাকসিনকে মোকাবিলা করতে পারে - এমন কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।

তবে দুটি কারণে বিজ্ঞানীরা এই নতুন 'স্ট্রেইন'টির ওপর কড়া নজর রাখছেন। একটি কারণ হলো: যে জায়গাগুলোতে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি সেখানেই এই নতুন স্ট্রেইনটি পাওয়া গেছে। এটি একটি সতর্ক সংকেত। তবে একে ব্যাখ্যা করা সম্ভব দু'ভাবে।

একটি হলো: করোনাভাইরাসের মধ্যে হয়তো এমন একটি মিউটেশন হয়েছে - যা আরো সহজে ছড়াতে পারে, এবং সে কারণেরই সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে।

নতুন মিউটেশনটি কি স্পেন থেকে এসেছে?

তবে এমনও হতে পারে যে এই নতুন স্ট্রেইনটি "সঠিক সময়ে সঠিক লোকদের" সংক্রমণ করেছিল। এটাকে বলা হচ্ছে 'স্প্যানিশ স্ট্রেইন।' ব্রিটেনের লোকেরা যখন আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে গ্রীষ্মের ছুটিতে স্পেনে বেড়াতে গিয়েছিল - তখন তারা এই বিশেষ মিউটেশনটিতে সংক্রমিত হয়েছে এবং এটাকে ব্রিটেনে নিয়ে এসেছে।

তবে আসলেই এই স্ট্রেইনটি অন্যগুলোর চাইতে সহজে ছড়াতে পারে কিনা - তা নিশ্চিত হতে হলে ল্যাবরেটরিতে বেশ কিছু পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

দ্বিতীয় প্রশ্ন : মিউটেশনটা ঠিক কী ধরনের?

অন্য যে বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানীদের ভুরু কুঁচকাচ্ছে তা হলো: এ মিউটেশনের ফলে ভাইরাসটিতে যে ধরণের পরিবর্তন এসেছে - সেটা।

কোভিড-১৯ জেনোমিক্স ইউকে (কগ) নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক নিক লোম্যান বিবিসিকে বলছেন, "করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে বিস্ময়কর রকমের বেশি সংখ্যায়ং মিউটেশন হয়েছে - আমরা যতটা মনে করেছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি। তবে এর মধ্যে কয়েকটা মিউটেশন আমাদের আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।"

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মিউটেশনটা হয়েছে মূলত: দুই ধরনের।

এখন অনেকেই জানেন যে, করোনাভাইরাসের গায়ে কাঁটার মতো কিছু 'স্পাইক' থাকে এবং তাতে থাকে বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন। মানবদেহের কোষের বাধা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ার জন্য এই প্রোটিনকে ব্যবহার করে করোনাভাইরাস, এবং তাকে 'দখল করে' নেয়।

এই স্পাইকগুলোর সবচেরেয় গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে "রিসেপ্টর বাইন্ডিং ডোমেইন।" ঠিক এই অংশটিকেই পাল্টে দেয় 'এন ফাইভ জিরো ওয়ান' নামের মিউটেশনটি।

এই কাঁটার মতো অংশ দিয়েই করোনাভাইরাস প্রথমে মানবদেহের কোষগুলোর সংস্পর্শে আসে। এখানে যদি এমন কোনো পরিবর্তন হয় যাতে ভাইরাসটির দেহকোষের ভেতরে ঢোকা সহজ হয়ে যায় - তাহলে বলতেই হবে, এটা এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।

অধ্যাপক লোম্যান বলছেন, দেখেশুনে এটাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন বলেই মনে হচ্ছে। 

করোনাভাইরাসের অন্য আরেকটি মিউটেশনের নাম 'এইচ সিক্স নাইন/ভি সেভেন জিরো'। এটি সন্ধান আগেই বেশ কয়েকবার পাওয়া গেছে। বিশেষ করে নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্কে মিংক নামে এক ধরণের প্রাণীর খামারে (এর লোমশ চামড়া দিযে পোশাক তৈরি হয়) এই মিউটেশনটি পাওয়া গিয়েছিল।

উদ্বেগের বিষয় হলো: সংক্রমণের পর বেঁচে যাওয়া মিংকের রক্তে যে অ্যান্টিবডি পাওয়া যায় - তা ওই মিউটেশনটিকে আক্রমণের ক্ষেত্রে কম কার্যকরী ছিল। তবে এ ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ঠিক কী - তা বুঝতে হলে ল্যাবরেটরিতে আরো পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

বার্মিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ্যালান ম্যাকনালি বলছেন, "আমরা জানি যে করোনাভাইরাসের একটা ভিন্ন স্ট্রেইন আছে, কিন্তু জীববৈজ্ঞানিক দিক থেকে এটার মানে কি - তা আমরা এখনো জানি না। এটা গুরুত্বপূর্ণ কি না বা কতটা - সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত টানার সময়ও এখনো আসেনি।"

কিন্তু এ মিউটেশনের ফলে কি ভ্যাকসিনে আর কাজ হবে?

করোনাভাইরাসের স্পাইক বা কাঁটাগুলোতে যদি মিউটেশন হয় - তাহলে ভ্যাকসিনে আর কাজ হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে স্বাভাবিকভাবেই। কারণ, ফাইজার, মডার্না এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকাগুলোর সবগুলোতেই করোনাভাইরাসের স্পাইকটিকে আক্রমণ করার জন্য মানুষের ইমিউন সিস্টেমকে 'শিখিয়ে দেওয়া' হচ্ছে।

তবে জেমস গ্যালাহার জানাচ্ছেন, টিকা দেবার ফলে মানবদেহ ভাইরাসটির স্পাইকের অনেকগুলো অংশকে আক্রমণ করতে পারে। সে কারণেই বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত যে করোনাভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেইনের বিরুদ্ধেও সমান কার্যকরী হবে এই টিকা। এই বিশেষ ভাইরাসটি এমন একটি ভাইরাস যা প্রাণীর দেহে বিবর্তিত হয়েছে এবং মানবদেহে সংক্রমণ করতে শুরু করেছে মাত্র বছরখানেক আগে।

তারপর থেকে এটিতে প্রতি দু'মাসে একটি করে মিউটেশন বা পরিবর্তন ঘটছে। আপনি যদি আজ করোনাভাইরাসের একটি নমুনা নেন, এবং এর সাথে চীনের উহানে প্রথম দিকে পাওয়া ভাইরাসের সাথে তুলনা করেন - তাহলে দেখা যাবে তাদের মধ্যে প্রায় ২৫ দফা পরিবর্তন হয়েছে।

করোনাভাইরাস প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মিউটেশন ঘটিয়ে চলেছে - যাতে সে মানুষের দেহে আরো কার্যকরভাবে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

আমরা এর আগেও ব্যাপারটা ঘটতে দেখেছি। এর আগে জি সিক্স ওয়ান ফোর নামে করোনাভাইরাসের আরেকটি প্রকার সম্পর্কে বলা হয়েছিল যে "ভাইরাসটি এখন নিজেকে সহজে ছড়ানোর উপযুক্ত করে নিচ্ছে।"

তবে কিছুদিন পরই যখন গণহারে মানুষকে টিকা দেওয়া শুরু হবে - তখন করোনাভাইরাসের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ উপস্থিত হবে। তাকে তখন টিকা নেওয়া মানুষকে সংক্রমণের জন্য নিজেকে (আবার) পরিবর্তন করতে হবে।

এখন, সত্যিই যদি টিকার কারণে ভাইরাসের নতুন বিবর্তন ঘটে যায় - তাহলে আমাদের হয়তো সেই টিকাকেও - কার্যকরী থাকার স্বার্থে - নিয়মিত আপডেট বা পরিবর্তন করতে হবে। আমরা সাধারণ ফ্লু-র ক্ষেত্রে ঠিক তাই করছি।

সুত্রঃ  বিবিসি বাংলা

Tuesday, December 15, 2020

The victory celebration of Bangladesh started in Kolkata from tomorrow

 

The Bangladesh delegation attended the inaugural function held at the Eastern Army Headquarters in Kolkata last evening. Anil Chauhan, GOC, Eastern Command of India, Jagdeep  Dhankhar, Governor of West Bengal and members of the Bangladesh delegation are presented: B Mukherje

Tomorrow is the 49th victory day of the liberation war of Bangladesh. The day is being celebrated separately by the Bangladesh Deputy High Commission in Kolkata and the Indian Army's Eastern Command in Kolkata. Besides, various social organizations in Kolkata are celebrating the day through various programs.

The two-day victory celebration of Bangladesh is starting in Kolkata from tomorrow. The victory celebration has been organized at the premises of the Deputy High Commission in Kolkata. Due to Corona, the duration of the festival has been reduced to two days. This festival will be celebrated in accordance with the tax rules. Everyone has to come after the mask.

This victory celebration has been held in Kolkata for nine years at the initiative of Bangladesh Sub-High Commission in Kolkata. This victory celebration will end on December 17.

This time, the Minister of Power of the Government of West Bengal Shobhandev Chatterjee will be present as the chief guest in the discussion meeting of this festival. Lieutenant Colonel (Retd.) Kazi Sajjad Ali Zahir (Bir Pratik), a researcher on the liberation war of Bangladesh, will be present as a special guest. Deputy High Commissioner of Bangladesh to Kolkata Tawfiq Hasan will preside over the function.

Once again, there are two days of cultural programs surrounding this festival. Renowned artists from Kolkata are joining. There will be information and films and photographs based on the liberation war of Bangladesh. 

The festival will run every day from 4 pm to 8 pm.

Meanwhile, the Eastern Command of the Indian Army in Calcutta has solemnly celebrated the 16th of December. MP from Bangladesh joined the festival. Led by Ali Ashraf, 13 freedom fighters, 6 army officers, 11 civilian officers and a total of 59 representatives including their family members. Lt. J. Sahidul Haque is leading the army delegation.

On this occasion, various events have been organized at Fort William, the Eastern Army Headquarters for five days from 14 to 18 December. Military band concerts and performances by military bands will be held on the occasion of Army Victory Day. An exhibition on Victory Day has also been organized at the Eastern Army Headquarters.

The official opening of the Victory Day celebrations took place on Monday evening at Fort William. The program was inaugurated by GOC Lieutenant General Anil Chauhan of Eastern Command. Governor of West Bengal Jagdeep Dhankhar was present as the chief guest. Deputy High Commissioner of Bangladesh to Kolkata Tawfiq Hasan was present. A 59-member team of 30 delegates from Bangladesh and their families attended the inaugural function yesterday evening.

Meanwhile, Bangladesh Victory Day is being solemnly celebrated in Kolkata on December 16 at the initiative of Bangladesh Sub-High Commission in Kolkata. In the morning, the national flag will be hoisted through the national anthem of Bangladesh at the Deputy High Commission premises. Deputy High Commissioner of Bangladesh to Kolkata Tawfiq Hasan will lift. After that, the speeches of the President, Prime Minister, Foreign Minister and State Minister for Foreign Affairs of Bangladesh will be read out here. After that, a wreath will be laid at the portrait of Bangabandhu at Bangabandhu Corner of Calcutta Sub-High Commission. After that special prayers will be offered for the peace of Bangabandhu's soul.


Biden won the Electoral College votes

 

                                                                 File Photo: Joe Biden

After winning the electoral vote, newly elected US President Joe Biden said democracy has been saved in the battle for the soul of the United States. The will of the people has been won.

The Electoral College vote was held on Monday in the second phase of the US presidential election system. Democrat candidate Biden addressed the nation after the election results confirmed victory.

President-elect Biden made the remarks after the second round of the US presidential election.

Biden's confirmed vote surpassed 270 after the greater state of California officially announced the results of their electoral vote on Monday evening, local time in the United States. In the final count, Biden received 306 electoral votes and Trump 232 Electoral College votes.

In his speech, Biden said that politicians do not take power in the United States. The people allow politicians to take power.

 "We, the people, voted," Biden said. Our confidence in the organization remains unwavering. The acceptability of the election is intact. 

Biden cited current President Donald Trump's efforts to change the outcome of the election. He said the Supreme Court had united and resisted any attempt to change the election results. 

Biden said more than 81 million people in the country had voted for him and Kamala Harris as vice president.

Referring to the record of any presidential candidate in the history of the United States, Biden said that they won in 2016 by getting the same Electoral College vote as Trump-Pence.

Biden, once the vice president of President Barack Obama, handed over power to then-winner Trump-Pence. Now the newly elected president has called on them (Biden-Harris) to hand over power in the same way in a clear result election. 

Electoral representatives of the states formally vote in the state assembly on the basis of the results of the majority vote of each state held on 3 November. A total of 534 electoral votes from 50 states of the United States and Washington DC. A majority of 270 votes is enough to elect a president. 

Electoral votes from the states will be sent to Washington within the stipulated time. These votes will be recounted in a closed session of the Congress on January 6. There, lawmakers will have the opportunity to raise objections. Hundreds of Republican lawmakers can raise such objections in favor of President Trump. The Democrat majority in Congress is expected to rule out any such objection. 

Biden will be sworn in as the new president on January 20 unless there is an unprecedented turn of events. The Biden administration will begin its journey as the 46th president of the United States through various events.

In a speech last night, Biden said the flames of democracy in the United States have already ignited. Epidemics, abuse of power — nothing could dampen this flame of democracy. 

"It's time to dump her and move on," Biden said in a statement. 

In his address to the nation, Biden said urgent work was needed to tackle the epidemic. His administration will immediately rush to rebuild America's economy, including rapidly delivering economic aid to its citizens.

Meanwhile, Trump supporters have been seen protesting in various states. Like Trump, his supporters at the rally claimed the election had been rigged. However, the state assemblies have completed the electoral voting process without any major incidents. 

Republican lawmakers in some states have recorded objections to President Trump. There is no reason to change the result.



Saturday, November 14, 2020

At what age is it normal for teeth to move?

Photo is collected

 

Teeth move with age; there are many such ideas. But this is not true at all.

According to medical science, it is not the case that teeth fall out as you get older. It is never normal for teeth to move suddenly. Many times permanent teeth move or fall out due to abnormalities.

But at what age will teeth start to move; that is not possible. Because it varies from person to person.

If we take proper care of our face, we can keep our teeth strong. If the teeth are healthy, the mind and body are healthy.

Notable among the various causes of tooth decay are:-

Injury

Injuries from accidents or collisions can cause teeth to move. In particular, road accidents, injuries to young children at home, injuries to opponents, falling while playing or not using a mouth guard in cricket can cause teeth to move. If you are bitten by something hard, the root of the tooth may be broken and the tooth may move.

Inflammation of the tooth tissue

Each tooth is held firmly in place by the gums and jaw bones. If you do not brush your teeth properly or if you do not use floss or inter-dental brushes to keep food stuck between your teeth, plaque and germicidal substances from the germ mixture between the teeth and gums and the harmful substances they produce will gradually build up in the gums and bones. Destroys the teeth and shakes the teeth. 

Hormonal effects

In many cases due to lack of proper care or indifference, excess of progesterone and estrogen hormones can lead to bone loss during pregnancy and menopause.

Uneven bite

Many of us have a bad habit of grinding or biting our teeth, which is called bruxism. In many cases, it is difficult to keep the teeth clean if the teeth are random, high and low, and there is a risk of extra pressure on some teeth, as a result of which the teeth may move.

Bone loss disease

Osteoporosis or bone loss with reduced bone density is seen in many people. Calcium or vitamin D deficiency can also lead to bone loss. Bone loss weakens all the bones of the body, then the jaw bone also decays and the teeth can move. Those whose immune system is weakened, such as uncontrolled diabetes, can also move their teeth from chemotherapy.

The medical process

There are still about 12,000 certified dentists in the country, as well as countless fake doctors, who are illegally treating patients, resulting in misalignment or orthodontic treatment, fillings or caps that do not match the normal bite, or the connection to the side teeth.

No one wants to move their teeth. It is possible to keep the teeth healthy and strong through proper care. If the tooth moves, it is necessary to consult a doctor as soon as possible, if it is late, the preservation of the tooth becomes uncertain.

The biggest cause of tooth movement is inflammation of the collar. The accumulation of food in the gaps between the teeth also destroys the gums and bones, the use of toothpicks or any metal stick or anything else accelerates it.

The opposite can also happen, for example, an infected tooth infection can damage the marrow between the teeth, enter the jaw bone and cause various types of inflammation, cysts or tumors from which the granules can be damaged and the teeth can move.

Sunday, November 8, 2020

The hero of the tragedy at the peak of power

 

Biden: From the youngest senator to the oldest president

                               File Photos: Biden  and Kamala Harries

He has been the victim of many tragedies in his personal life. The ambitions of politics have been dusted off more than once. He wanted to leave everything and commit suicide. Even after stumbling again and again, he stood up again. Won the election as the 46th President of the United States.

But the path to Biden's long-cherished dream of becoming president of the United States from an ordinary family has not been smooth. Had to suffer a lot. The boat came ashore without leaving the hull. However, despite facing various adversities at different times, he has overcome them. Biden, who has 50 years of political experience, believes in fate.

He once said that in the face of many challenges, what he wants to do and what he wants to do is how to make it happen in the end. This is the last time that the dream of this militant US politician has been fulfilled, though not the first two times during the presidential election.

Stumbling Standing: Joe Biden is a fighting man. He works by setting goals. He decided to become a senator at the age of 30 after marrying his first wife. In 1972, the Democratic Party nominated Biden against Republican Senator Jay Cable Boggs of Delaware.

Biden lost to Boggs as a young candidate. At the age of 29, he became the youngest senator. But before taking charge, his wife and daughter Naomi died in a road accident. Biden was so devastated by the incident that he decided to stay out of politics. He even thinks of suicide. In the end he decided to become a priest and make two sons human.

In his memoirs, Biden writes that at one point he became angry with God. It seems that God is playing a cruel game with him. He used to wander alone in the evenings in gangster and bullying areas. He wanted to get involved in a fight. But the team came back again with inspiration.

He was also ridiculed by his classmates and even teachers for stuttering since childhood. It took a lot of effort to speak well and present fluently. The United States, the world's most powerful country, has won the presidential election by ignoring the ridicule of the people.

Obstacles to running for president: Biden's long-held dream of running for president is set to run in the 1988 presidential election. But in mid-September 1987, he had to withdraw from the race to run for the Democratic Party, accusing others of plagiarism and dishonesty.

But that was because of a mistake, not his will. He tried to run for the second time in 2008. But then he lost to the charismatic candidate of the Democratic Party, Barack Obama. However, he has received from this rate. Obama chose Biden, an experienced politician, as his running mate.

He served as Vice President from 2008 to 2016, adding to his experience.

In 2015, when he was preparing to run in the elections, a bigger accident happened. His son Bo Biden died of brain cancer. This boy himself was involved in politics. Delaware was the attorney general and was preparing to become governor next time. Khan Biden was shocked by his death and changed his decision to run in 2016.

In the end, he overcame many obstacles this year and became a candidate. Even before the start of the election campaign, President Trump called him a 'sleepy joe', a 'liar' and so on. Besides, many ridicule him as a bad and bad candidate. In the end, Biden, who is experienced in foreign policy and US politics, is going to sit in the White House, leaving everything behind.

He is currently 77 years old. Will step78 on November 20. At the end of the ceremony, he will be the oldest US president in history.

Edited by MD ZAHIRUL HAQUE

AI NEWS CORRESPONDENT AND FREELANCE JOURNALIST


Saturday, November 7, 2020

History of Biden!!He lost to Trump and was elected the 46th President of the United States.

 

Laughing Joe Biden in his address to the nation. After a long wait, he was announced on Saturday as the 46th president of the United States – AFP

Joe Biden was finally elected President of the United States, ending tensions. Four days after the vote, he won 20 electoral votes in Pennsylvania on Saturday.

Biden received 20 more votes than the 270 electoral  college votes needed to win. Out of 538 electoral votes, he got 290 votes. President Donald Trump received 214 votes. With that, Trump's hopes of victory were dashed. At the same time, the stalemate over the results of the presidential election came to an end. The results of the two states have not yet been announced. Of course, it will not play any role in determining victory or defeat.

Biden will be sworn in as the oldest president in US history on January 20. This marks the successful conclusion of almost half a century of struggle for the highest position in the world's most powerful country. The victory marks the first time since 1992 that Donald Trump has stepped down from the White House.

Meanwhile, Biden has begun preparations to take power in the camp. "I am honored to be elected to lead this great country," Biden told the crowd in a tweet following the news of the victory. The work ahead of us will be difficult. But I promise, I'll be president of all America, it doesn't matter if you voted for me or not. ' He called on the people to unite.

Biden is scheduled to deliver a victory speech on Sunday morning, Bangladesh time. News of the victory has prompted world leaders to welcome him. Kamala Harris, of Indian descent, became Biden's first female vice president of the United States. After the news of the victory broke, he called Biden and said, "We did it, Joe."


After the news of Biden's victory as the 46th president was announced, people were seen chanting 'Praise God, Donald Trump has bid farewell' at the BLM Plaza in Washington DC. Many cried with joy at this time. In contrast, frustration naturally descends on the Trump camp.

"Biden is rushing to falsely assume victory, and the election battle is far from over," CNN quoted CNN as saying in a statement shortly after Biden's victory. The statement said their legal battle would begin on Monday. Trump said in a statement that the results of the vote count had not yet been verified by election officials and were in fact media predictions.

White House sources told CNN that Trump would not congratulate Biden on conceding defeat. The Trump camp has already begun a legal battle over allegations of electoral fraud.

But while Trump has not acknowledged the rate, top Republican leaders have begun to acknowledge Trump's defeat. Already standing on the opposite pole of Trump, many of the party's top leaders said there was no fraud in the election.

The 77-years-old Biden made history by being elected the oldest president in this victory. Earlier, the Democrat leader also created the history of getting the most popular vote in the history of US presidential election.

All eyes were on Pennsylvania and Nevada for Biden's victory. He would have won if he had won any one of them. He was born in Pennsylvania. According to CNN, Biden received 33,45,724 votes in Pennsylvania. And Trump got 33 lakh 11 thousand 310 votes. The gap is 34,414 votes. And according to the popular vote count across the country, Biden got 7 crore 44 lakh 78 thousand 533 votes out of the votes counted so far. His rival Trump got 7 crore 3 lakh 30 thousand 210 votes.

This is the highest turnout since 1900. Biden broke all previous records in total votes. He received about 4.1 million more votes than his rival, Trump.

Biden had previously won 264 electoral college votes. He won in Pennsylvania as well as Nevada yesterday. Through this he got 290 electoral votes. 270 votes are needed to win. With this, Biden won one of the most competitive elections in history. He is also expected to win 16 electoral colleges in Georgia. If that happens, his electoral vote will be 306.

Biden wants to move the United States forward as a democracy. At the same time, he has pledged to balance the world system by scrapping many of Donald Trump's controversial policies. He has vowed to reinstate many of Trump's international agreements, including the Paris climate deal and the nuclear deal with Iran.

Biden's political life spans five decades. In 1970, Joe Biden was elected councilor of Newcastle County, Delaware. Then he did not have to look back. In November 1972, he ran against the then-popular Republican senator, Saleb Boggs, for the Democratic nomination. Then write the name in history. At just 30, he was elected the fifth youngest senator in U.S. history. He served as a senator from 1973 to 2009.


In 1987, Biden announced that he would run for the presidency from the Democratic Party. However, due to illness, he stopped at the beginning of primary in 1988. In 2007, he again ran for the presidency in the party's primary. In that journey, he did not have much advantage against Barack Obama and Hillary Clinton. Later in 2008, Obama chose him as his running mate. He served as Vice President from 2009 to 2017.

According to earlier results, Biden was leading by a wide margin in the Electoral College and Popular Votes. His clear message was, "People have given us the mandate to go into action." He has already started work.

Until yesterday, all eyes were on the five fruit-hanging states. Biden was ahead of Georgia, Pennsylvania and Nevada. Trump was ahead in North Carolina and Alaska. His victory in North Carolina was virtually certain. Biden would have won any one of them. He eventually won in Pennsylvania and Nevada.

Anxiety was growing as the announcement of results was delayed. Biden as well as his supporters, many citizens of the United States and the world were eagerly awaiting the announcement of the results. However, there was no fear of Biden falling behind in the counting of votes. However, Trump was pursuing the goal of defending his face by filing a lawsuit in court. Trump's last hope is now the majority of pro-Republican judges in the Supreme Court. He tried to suspend the vote count in important Pennsylvania.

Greetings from world leaders: World leaders have congratulated Joe Biden on his election as President of the United States. As soon as Biden's victory was confirmed last night, the heads of state and government of different countries started congratulating him. German Chancellor Angela Merkel greeted Biden in a tweet, saying trans-Atlantic relations were not to be severed. Indian Prime Minister Narendra Modi has congratulated Biden and Kamala for winning the 'pioneering election'.

Biden was also greeted by the Prime Minister of the United Kingdom Boris Johnson, the Prime Minister of Canada Justin Trudeau, the President of France Emmanuel Macron, the two top leaders of the EU Michael and von der Leyen.

Former United States President Barack Obama has greeted Biden, urging him to prepare for the new presidency, saying "there is no end to my pride." Hillary Clinton lost to Trump in the last election despite getting more popular votes. In a tweet yesterday, he said Biden's victory was revenge for that defeat.

Edited by MD ZAHIRUL HAQUE,
AI NEWS CORRESPONDENT,USA AND FREELANCE JOURNALIST



Biden pledges to build a united United States

 

                       File Photo: Mr. Biden is giving the victory speech 


Newly elected President Joe Biden has vowed to forget all divisions and build a united United States. He made the pledge in his victory speech from Delaware on Saturday night as the 46th president of the United States.

In his speech, he called on all Democrats and Republicans to forget enmity and build a cooperative relationship. News from the BBC

"I promise to be a president who wants to unite the nation without dividing it," Biden said. Who doesn’t see the red and blue states, only sees the United States.

"It's time to dump her and move on," she said, referring to the recent divisions and bitterness in the United States. If we decide not to cooperate with each other, we can also decide to cooperate.

He said the country should learn from the violent movement surrounding the death of blacks at the hands of the police, the world's largest coronavirus infection and death, to learn from that experience to build a new society.

Thursday, November 5, 2020

Trump did not even think so

 

FILE PHOTO:Dolnald Trump

Donald Trump did not even think so. Will win the election - he was confident. But he did not seem to understand what had happened. He is losing his second term as the first incumbent president since 1992. Through a nuclear disarmament deal with North Korea, the arch-enemy of the United States, through mediation to normalize Middle East relations with Israel, and through a trade war with China, he may have thought he would gain greater support in the country. So he became desperate to win the election. But he may not have known that the coronavirus issue had eaten him to the ground like a worm. He has canceled a historic nuclear deal with Iran signed by former President Barack Obama.

Soon after coming to power, Paris pulled the United States out of the climate deal, forcing only 15-year-old Greta Thanberg to shed tears. Has unilaterally recognized Jerusalem as the capital of Israel. For all these reasons, the ground has slowly shifted from under Trump's feet. He may not have realized it. This time he is not willing to accept defeat in the presidential election. Before the election, he announced that he would approach the Supreme Court. Moreover, he has repeatedly said that he will not hand over power peacefully if defeated. When the coronavirus killed at least 230,000 people in his home country, causing panic across the United States, including New York, he blamed the "Chinese virus" instead of tackling the situation. By doing so, he has used politics to stab China rather than bring the coronavirus to the fore. He also said that he has avoided the horrors of coronavirus as people will be scared. Counter Joe Biden has sharply criticized him for being cautious on the Corona issue. Joe called Biden a "sleepy joe." As a result, voters who are not staunch supporters of either the Republicans or the Democrats have recalculated. Trump has been accused of vote rigging in the wake of a series of back-and-forth election results in six swing states. He said that vote fraud was taking place in those states. As a result, he or his team has challenged legal recounts in at least four of those states. Either way, he really wanted to be elected president in the place of his confidence. But in the last judgment he could not. This was not supposed to happen to him.

Edited by Md.Zahirul Haque

              AINews Correspondent

Sunday, November 1, 2020

Foreign researchers praised the changed Bangladesh


                                                                Photo: Collected

Bangladesh has become a role model of development by overcoming various adversities; Researchers from different countries of the world praised him.

In a webinar of the Awami League's sub-committee on international affairs on Sunday, the speakers praised Bangladesh.

 The ruling party's sub-committee on international affairs organized a webinar titled '50 Years of Bangladesh: Economy, Society, People and Leadership '.

 The aim of the webinar was to identify the struggles of the people, the evaluation of the achievements and the obstacles to move forward.

Researchers from different countries of the world discussed in the webinar. Speaking, Foreign Minister AK Abdul Momen, Associate Professor at Swinburne University in Australia. Diane Bolton, researcher. Eric Janssen, Dr. Anders Tax, Awami League International Subcommittee Chairman Ambassador Land, International Affairs Secretary. Shammi Ahmed, former governor of Bangladesh Bank. Atiur Rahman.

In their discussions, the negotiators emphasized on the dramatic change in Bangladesh. They praised the various initiatives taken during the time of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman.

 The unrest that erupted in the country from 1975 to the 1980s; The speakers appreciated the way the present government has taken the country on the path of development by handling it successfully.

Foreign Minister Abdul Momen thanked the Awami League's International Sub-Committee for successfully organizing the event with eminent researchers. He also commented that the researchers' opinions would be used later.

Edited on 2/11/2020 by Md Zahirul Haque

AI News Correspondent